স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ট রাজশাহী মহানগরীর ঢাকা বাসস্টান্ড সংলগ্ন স্থানের আম ব্যবসায়ীরা। চাঁদা না দিয়ে সেখানে কেউ ব্যবসা করতে পারেনা। স্থানীয় সাজু ও স্বপনসহ তাদের কয়েকজন সহযোগী এ চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। জানা যায়, প্রতিবছর আমের মৌসুমে রাজশাহী নগরীর শিরোইলস্থ ঢাকা বাসস্টান্ডের দক্ষিণে ফুটপাত ও পাশের সরকারী জায়গায় বেশ কয়েকটি আমের আড়ৎ ও দোকান বসে।
রাজশাহীর আশে-পাশের বাগান থেকে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, কানসাট, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুর থেকে প্রতিদিন শতশত মণ আম এসব আড়তে নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা ও বাগান মালিকরা। আর এই আড়ৎ থেকে আমগুলো খুচরা বিক্রির জন্য রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
আড়ৎ সূত্রে জানা গেছে, এই স্থানে ৫টি আমের আড়তে পাইকারি আম বিক্রি করা হয়। এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আসা আমগুলো কিনে খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান। প্রতিদিন ৬শ’ থেকে ৮শ’ ক্যারেট আম এখানে বেচা-কেনা হয়। ব্যবসায়েিদর অভিযোগ, বিভিন্ স্থান থেকে ট্রাক বা অন্য যে কোন যানবাহনে এই আড়তে নিয়ে আসা আমহুলো গাড়ী থেকে নামানো মাত্রই পড়তে হয় চাঁদাবাজদের হাতে।
চাঁদা না দিলে এখানে আম বিক্রি করা অসম্ভব। এছাড়া এখানকার ফুটপাতের উপরের আমের দোকনগুলোও ওইসব চাঁদাবাজদের মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে বসতে হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুব একজন আড়তদার জানান, এখানে চাঁদাবাজীর বিষয়টি প্রায় ওপেনসিক্রেট।
চাঁদাবাজদের হাতে আম ব্যবসায়ীরা একরকম জিম্মি। তিনি বলেন, তারা যেহেতু সরকারী জায়গা ও ফুটপাতের উপর ব্যবসা করেন। এছাড়া তারা রাজশাহীর বাইরে থেকে এসে এখানে ব্যবসা করছেন তাই চাঁবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননা। বাধ্য হয়ে দাবীকৃত চাঁদা দিয়েই ব্যবসা চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাজু ও স্বপন চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।