মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওরা আপনাকে পোকার মতো পিষে মারবে, ওয়াগনারপ্রধানকে লুকাশেঙ্কো

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থামাতে রাজি হয়েছিলেন ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে আলাপ হয়েছিল। তখন প্রিগোশিনকে লুকাশেঙ্কো বলেছিলেন, ‘ওরা (রুশ বাহিনী) আপনাকে পোকার মতো পিষে ফেলবে।’

মঙ্গলবার রাজধানী মিনস্কে প্যালেস অব ইনডিপেনডেন্সে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট।

এ সময় ভাগনারের বিদ্রোহ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, তা তুলে ধরেন তিনি।

লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমি পুতিনকে ব্যস্ত না হওয়ার পরামর্শ দিলাম। বললাম, চলুন, প্রিগোজিন আর তার কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলি।’ তখন পুতিন বললেন, ‘দেখুন সাশা (লুকাশেঙ্কো), এটা কোনো কাজে আসবে না। তিনি আমাদের ফোনও ধরবেন না।’

এরপর পুতিনের কাছে প্রিগোজিনের অবস্থান জানতে চান লুকাশেঙ্কো। জানতে পারেন, তিনি রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে রোস্তভ-অন-দন শহরে রয়েছেন। এরপর পুতিনকে তিনি বলেন, ‘আচ্ছা, আমি তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করব।’

প্যালেস অব ইনডিপেনডেন্সে অনুষ্ঠানে প্রিগোজিনকে একজন ‘বীর’ হিসেবে অভিহিত করেন লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেন, প্রিগোজিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও জেনারেল চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে তার হাতে তুলে দিতে বলেন। পুতিনের সঙ্গেও দেখা করতে চান বলে জানান। জবাবে লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘কেউ আপনার হাতে কখনোই সোইগু, গেরাসিমভ বা অন্য কাউকে তুলে দেবে না।’

বেলারুশের প্রেসিডেন্টের ভাষ্যমতে, তখন প্রিগোজিন বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই! তারা আমাদের গলা টিপে মারতে চায়! আমরা মস্কো অভিমুখে যাত্রা করব!’ লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘তখন আমি বললাম, যদিও পুতিন আমাকে বলেছেন, রুশ সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সম্মুখসারিতে ব্যস্ত আছে। এরপরও মাঝপথেই তারা আপনাকে পোকার মতো পিষে মারবে।

গত শুক্রবার বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। রুশ সামরিক নেতৃত্ব উৎখাতের দাবিতে পরদিন শনিবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি ও ওয়াগনার যোদ্ধারা। পথে বেশ কয়েকটি শহর নিয়ন্ত্রণে নেন তারা। পরে সেদিন রাতে লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।

বিদ্রোহ থেকে সরে আসা নিয়ে প্রিগোজিনের সঙ্গে ক্রেমলিনের একটি সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী, বিদ্রোহের জেরে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়া হবে। ওয়াগনারের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আর প্রিগোজিনকে বেলারুশে ‘নির্বাসন’-এ যেতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.