মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে পেশীশক্তির ব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা: রাজশাহীতে সিইসি

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতায় কোনো চাপ অনুভব করছি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (৭ জুন) দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিদেশিদের তৎপরতায় আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আর সত্যি বলতে সেই বিষয়গুলো গায়েও মাখছি না। সেগুলো ‘বিষয়’ হয়ে থাকলে তা সরকারের জন্য হতে পারে, আমাদের জন্য নয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতে চায়। তাই নির্বাচনকালীন প্রশাসনের কেউ দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের ব্যত্যয় করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।

সিইসি বলেন, সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। অধিকারের প্রশ্নে কমিশনের চোখে সবাই এক। তাই সে যে দলেরই হোক গুরুতর আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করা হবে না। কমিশন কোনো দল বা পক্ষের হয়ে কাজ করে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী স্বাধীনভাবে কাজ করবে। আর নির্বাচনের দিন কোনো রকম সমস্যা মনে হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে না এটি একটি স্বাধীন সংস্থা।

এর আগে বুধবার সকাল ১০টায় রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান ও সচিব মো. জাহাংগীর আলম। সভায়
রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমানসহ নির্বাচন কাজে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সভায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চার মেয়র প্রার্থীসহ ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিল প্রার্থীরা অংশ নেন। সভায় প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও অভিযোগ সম্পর্কে উত্তর দেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।

আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইভিএমে। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৬ জন নারী কাউন্সিলর এবং ২৯টি ওয়ার্ডে ১১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বী অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া ২০ নম্বর ওয়ার্ডে একক প্রার্থী থাকায় তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.