প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ যশোরে সাবেক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে নূর নাজমা বেগমকে (৩০) হত্যার পর পালিয়ে যান তার সাবেক স্বামী সালাউদ্দিন গাজী।
সদর উপজেলার চাঁচড়ার মুকুল ব্রিকসের পাশ থেকে ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাতে বিষপান করা অবস্থায় রাতে সালাউদ্দিনকে আটক করে হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়।
হত্যার শিকার নূর নাজমা বেগম (৩০) যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদহ মিয়াপাড়া এলাকার মশিউর রহমানের মেয়ে। হত্যার পর আত্মহত্যা করা সালাউদ্দিন গাজী (৪১) একই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন গাজীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে নূর নাজমা বেগম চার মাস আগে সালাউদ্দিন গাজীকে তালাক দেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে সালাউদ্দিন তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার সকালে সালাউদ্দিন নূর নাজমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে গালাগাল করে চলে যান। পরে বিকেলে মাঠে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। এ সময় পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই রুবেল হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুরে নূর নাজমা বেগম মিয়াপাড়া মুকুল ব্রিকসের দক্ষিণ পাশে ফাঁকা মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় প্রাক্তন স্বামী সালাউদ্দিন তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এদিকে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া সালাউদ্দিন রাতে যশোর সদর উপজেলার বাগেরহাট এলাকার একটি বাগানে বিষপান করেন। খবর পেয়ে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সুলাইমান আক্কাস ও এসআই মাইদুল ইসলাম তাকে আটক করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির পর তার মৃত্যু হয়।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম মর্তুজা মোর্শেদ জানান, ঘাসমারা বিষ খাওয়ায় এবং বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ার তার মৃত্যু হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার নূর নাজমা বেগম এনজিও থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ তোলেন। এই কথা জানতে পেরে টাকা নেওয়ার জন্য শুক্রবার নূর নাজমা বেগমের কাছে যান সালাউদ্দিন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে গোলযোগ হয়। একপর্যায়ে মাঠে গরু আনতে গেলে একা পেয়ে সালাউদ্দিন তাকে গলাকেটে হত্যার করে পালিয়ে যান। পরে তিনি বিষপান করেন।