শনিবার | ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে পরীক্ষার্থী কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণের বেশি এইচএসসি পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছেন। এ বোর্ডে এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হারও বেড়েছে। অথচ এবার গত বছরের তুলনায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল কম।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অলীউল আলম তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এইচএসসির পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফল অনুযায়ী, বোর্ডে এবার পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। আলাদা করে শুধু ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ শতাংশ আর ছাত্রীদের ৮৭ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

ফলাফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অলীউল আলম বলেন, ‘এবার ফলাফল আগের বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। এটা ধরে রাখতে আমরা চেষ্টা করব।’

বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৩ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৪৪৮ জন পাস করেন। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯০ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল কিছু কম।

এবার গত বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। গত বছর মাত্র ১১ হাজার ২৫৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছিল, এবার তা বেড়ে ২৪ হাজার ৯০২ জন হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৩০৫ জন। আর ছাত্রী ১৪ হাজার ৫৯৭ জন। বিগত চার বছরের মতো এবারও ছাত্রদের চেয়ে বেশিসংখ্যক ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৯ দশমিক ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন রাজশাহী জেলায়। আর সর্বনিম্ন ৭৪ দশমিক ৭১ শতাংশ পাসের হার নওগাঁয়। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, সিরাজগঞ্জে ৭৫ দশমিক ৯১ শতাংশ, নাটোরে ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, পাবনায় ৮১ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বগুড়ায় ৮৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং জয়পুরহাটে ৭৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।

বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বিভাগের আট জেলার ৭৪১টি কলেজের পরীক্ষার্থীরা ২০৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন। এবার ৩৫টি কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। তবে ১২টি কলেজ থেকে কেউই পাস করতে পারেননি। গত বছর কোনো পাস না করা কলেজের সংখ্যা ছিল চারটি।

শতভাগ ফেল করা এসব কলেজের ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। শুধু তালিকাটা আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে পারি। তারা ব্যবস্থা নিতে পারে।’

আগের বছরগুলোতে শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা এখন বলতে পারব না। দেখে বলতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.