রাজশাহীতে পুলিশের এসআই ও ওসিসহ যুবলীগ নেতার নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদা আদায় ও মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর অভিযোগে রাজশাহী মহানগর পুলিশের এসআই ইফতেখার মোহাম্মদ আল-আমিন ও বোয়ালিয়া থানার সাবেক ওসি হুমায়ুন কবীরসহ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ দত্ত বাপ্পিকে আসামি করে বিএনপির এক নেতা মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যেখানে দুজন নারী পুলিশ সদস্যের কথাও বলা হয়েছে।
মামলার বাদী রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম মিলু । রবিবার (২৭ অক্টোবর) তিনি রাজশাহীর সিএমএম-১ আমলী আদালতে মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য দিয়েছেন।
প্রধান আসামি ইফতেখার মোহাম্মদ আল-আমিন বর্তমানে রাজশাহী পুলিশ লাইনসে কর্মরত। আর ওসি হুমায়ুন কবীর নৌ-পুলিশে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অরবিন্দ দত্ত বাপ্পি গত ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই ২০২৪ নগরীর ষষ্টিতলার মিলুর বাড়িতে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান আসামি এসআই ইফতেখার প্রবেশ করেন। এ সময় তাকে গালিগালাজ করে টেনেহিঁচড়ে বাড়ি থেকে বের করেন। এরপর সবাই মিলে তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হলে তারা মিলুকে পুলিশ ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যান। সেখানে তারা মিলুর কাছে আবারও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় বিএনপি করার অপরাধে ৫ থেকে ৬টি মিথ্যা মামলায় আসামি করে কারাগারে প্রেরণের ভয় দেখান। মিলু তার ম্যানজারের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে তদের হাতে তুলে দেন। তবে তারা আরও ২ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবি করা সেই ২ লাখ টাকা দিতে না পারায় একটি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়।
রবিউল ইসলাম মিলু বলেন কারাগারে থাকায় এবং আসামিরা প্রশাসনের ব্যক্তি ও প্রভাবশালী হওয়ায় মামলায় বিলম্ব হয়েছে। মামলায় মোট ছয়জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে আসামিদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।