বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় বিভাগীয় প্রেসক্লাব রাজশাহীর সম্মেলন কক্ষে হুমকি, স্ট্যাম্প ও চেক ছিনিয়ে নেওয়ায় প্রশাসনের নিরব ভূমিকার প্রতিকার চায় ভুক্তোভোগী ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তোভোগী জমি ব্যবসায়ী মো: আ: আব্দুল কাইউম। এসময় তিনি বলেন, জমি ব্যবসার পার্টনার কন্সটেবল জাহিদ হাসান, আইনজীবী সহকারী মো: ফিরোজ রহমান পিটার, মো : জাহিদ ও মো: আয়নালের সাথে জমি ব্যবসার জেরে একটি সম্পর্ক তৈরী হয়। এরপর, একটি জমি বায়না করা বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়। দেশের চলমান সংকটময় অবস্থায় জমিটি বিক্রি না হওয়ায় লগ্নিকৃত অর্থ ব্যবসায়িক পার্টনারদের হাতে ফেরত না দেওয়ায় চড়াও হয় অভিযুক্তরা। তবে, জমিটি বিক্রি হলে লাভসহ লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানায় ভুক্তোভোগী ব্যবসায়ী।
তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে তারা আমাকে ৪টি ফাঁকা চেক ও ১২টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোর পূর্বক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চেক-স্ট্যাস্পে স্বাক্ষর করায়। এরপর, অভিযুক্তরা আমার মা ও স্ত্রিকে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে। ঘটনার পর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসানের নাম বাদ রেখে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য আহ্বান করে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: কুদরত-ই-খুদা শুভ।
সংবাদ সম্মেলনটির মধ্যদিয়ে ভুক্তোভোগী ব্যবসায়ী জড়িত পুলিশ সদস্যকে অভিযোগে অর্ন্তভ‚ক্তি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসান বলেন, আমি ঘটনাটির সাথে জাড়িত নই। আমি সরকারি চাকুরি করি বিধায় আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র করছে।
আইনগত ব্যবস্থাগ্রহনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এখনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করিনি। তবে, এক মুরগিকে কতবার জবাই করবে ? আমি শুনেছি আমার বিষয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান চালিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবে পুলিশ কমিশনার।