নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে চাঁদাবাজি, লুটপাট ও জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ে জামায়সহ তিন জনের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর ২০২৪) রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করে বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।
অভিযুক্তরা হলেন, ঝিকরা ইউনিয়নের পিরুলী সেনপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুর রহমান, গুনিয়া ডাঙা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি উজির প্রামাণিকের ছেলে জেএমবি ক্যাডার মোজাফফর হোসেন, পিরুলী সেনপাড়া ইউনিয়নের বাহার প্রামাণিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঝিকরা ইউনিয়নে চাঁদাবাজি, লুটপাট, জবরদখল করে পুরা ইউনিয়নে তাণ্ডব চালিয়েছে তারা। তাদের মধ্যে সাজেদুর রহমান পেশায় উকিল না হয়েও উকিল বারে চাকরির নামে এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন। আর মোজাফফর হোসেন সুদের নামে মানুষকে টাকা দিয়ে জোর করে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। তিনি গত ৫ বছর আগে একজনকে ট্রাক্টরে চাপা দিয়ে মেরে ফেলেন। তবুও ক্ষমতার বলে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতেন।
অভিযোগে বলা হয়, মোজাফফরের কারণে অনেক অসহায় লোক প্রাণের ভয়ে ও ঋণের চাপে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ঝিকরা ইউনিয়নের শিবদেব পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে ২০ হাজার টাকা সুদে দিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ টাকা দিয়েও তার ঋণ পরিশোধ হয় নি। টাকা না দিলে মামলা এবং প্রাণের ভয় দেখিয়ে তাকে একেবারে সর্বশান্ত করে ফেলেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সাইফুল ইসলাম বিমা ও ডিপিএস এর নামে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করতো।
অন্যদিকে জেএমবি ক্যাডার মোজাফফর হোসেন জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনে উপর পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। তার যৌথভাবে মিলেমিশে লুটপাট, ভয়-ভীতি, চাকরির দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ ও জোরপূর্বকভাবে সরকারি/মালিকানা পুকুর দখলে নিতেন।
পাশাপাশি চাঁদাবাজি এবং নামমাত্র টাকা দিয়ে স্ট্যাম্প বা চেকে স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তীতে সেটা দিয়ে বিপুল পরিমাণে টাকা আদায় করতেন।
সাইফুল হোসেন বিগত ১৫ বছরে সেনপাড়া গ্রামের এবং ঝিকরা ইউনিয়নের প্রায় দুইশ লোকের কাছে বীমা/ডিপিএস এর নাম করে টাকা নিয়ে তা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এই এলাকায় চাঁদাবাজি করে রাজশাহী শহরের ৪০ শতাংশ জমি কিনে পাঁচ তলা বাড়ি বানিয়েছেন সাজেদুর রহমান।
তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করে টাকা হাসিল করতো বলেও অভিযোগে বলা হয়।