আমাদের দেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গরু ও খাসি কোরবানি দেওয়া হয়। এ দুটো প্রাণীর মাংসই লাল। এখানে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি। প্রোটিন, চর্বি, কোলেস্টেরল ছাড়াও এতে রয়েছে অঢেল পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, রিবোফ্লাভিন, পটাশিয়াম, জিংক, আয়রন, ভিটামিন বি৬ এবং বি১২।
শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলো এখানে পর্যাপ্ত বিদ্যমান। প্রাণিজ উৎস ছাড়া অন্য কোনো খাদ্যে এসব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড নেই। এজন্য এটাকে বলে উচ্চমানের আমিষ সমৃদ্ধ খাবার। শারীরিক সুস্থতার জন্য এসব খাদ্য উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লাল মাংসের স্বাস্থ্যঝুঁকি : লাল মাংস গ্রহণের সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ক্যানসারের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এছাড়া এসব মাংস গ্রহণের ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। এসব খাদ্যে উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকায় যাদের লিভার ও কিডনি সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য সমূহ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।