নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে গেল নভেম্বর মাসে ২২ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, আত্মহত্যা ও নির্যাতনের মতো ঘটনা আছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস)। সংস্থাটি দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারণে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারণে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়।
নভেম্বর মাসে অমানবিক কিছু ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাঘায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, নগরীতে দুই শিশুকে ড্যামফিক্স পান করানোর অভিযোগ, গোদাগাড়ী উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির ১৫ জন শিক্ষার্থী শিক্ষক দ্বারা নির্যাতনের শিকার, দুর্গাপুর উপজেলায় আম্বিয়া খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, তানোর উপজেলার তানন্দ ইউপির নারায়ণপুর গ্রামে মুক্তা আক্তার ময়না (৩৪) নামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, দুর্গাপুর উপজেলার ধরমপুর মধ্যপাড়া গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মোহনপুরে শতবর্ষী এক নারী (১০৫) নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
লফসের নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। রাজশাহী অঞ্চলে নারী- শিশু নির্যাতনসহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।