নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় অজ্ঞাত রোগীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ সকল রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নীতিমালা ও একটি অস্থায়ী ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে ওয়ার্ডে রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য তিনজন আয়াও আছেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের মাধ্যমে ১০ জন অজ্ঞাত রোগীকে পরিবারে পুনঃএকত্রীকরণ করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে পারুল ও ছকুর আলী নামে দুইজন অজ্ঞাত রোগীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার ড. হামিদুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত রোগী পারুল দীর্ঘদিন যাবৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অজ্ঞাত রোগীদের ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত অবস্থায় ছিলেন। ফিঙ্গার প্রিন্ট শনাক্তকরণের মাধ্যমে তার ঠিকানা খুঁজে পাওয়ার পর গত ২৩ নভেম্বর যশোরে তার নিজ বাড়িতে ভাইয়ের কাছে দেওয়া হয়। হাসপাতালে অবস্থানকালে তার প্রয়োজনীয় ওষুধ, পথ্য, পোশাক প্রভৃতি সরবরাহ করা এবং পরিবারে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে রোগী কল্যাণ সমিতি তথা হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়। সেবা শুশ্রুষা ও যশোরে তাকে পৌঁছে দেয়ার কাজটি সম্পন্ন করেছে আলেয়া খাতুন।
তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাত রোগী ছকুর আলী দীর্ঘদিন যাবৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অজ্ঞাত রোগীদের ওয়ার্ডে ছিলেন। ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাইয়ের মাধ্যমে ঠিকানা সনাক্তকরণের পর অজ্ঞাত ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত আয়া আলেয়া খাতুন গত ২৮ নভেম্বর তাকে নিয়ে রংপুরে যান।
শহর সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুরে সমাজসেবা অফিসার আরিফুর রহমান এর সহযোগিতায় ছকুর আলীর ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়ের নিকট তাকে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ স্থাপনের কাজটি সম্পন্ন করা হয় বলে জানান তিনি।