নিজস্ব প্রতিবেদক: চলছে অগ্রহায়ণ মাস। পৌষ আসতে বাকি এখনও পাঁচদিন। এর মধ্যে দেখা মিলছে শীতের। উত্তর-পশ্চিমের এই জেলায় তাপমাত্রার পারদও নামছে দ্রুত। ভোরের প্রকৃতিতে দেখা মিলছে কুয়াশার। দুপুর ১২টার আগে বাড়ছে না তাপমাত্রা। আবার বিকেলের পর থেকেই অনুভূত হচ্ছে শীত। সন্ধ্যা থেকে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সাথে রাজশাহীতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সোমবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ ধরেই রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
অন্যদিন সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও সোমবার দুপুর পর্যন্ত তা দেখা পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে ভারি ও হালকা যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। পথে-ঘাটে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চিরচেনা দৃশ্যও চোখে পড়ছে।
দেখা যাচ্ছে শীতের কারণে ছিন্নমূল মানুষের কষ্টও। তবে এরকম আবহাওয়া দুয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস। এই মাসের শেষে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, এখন কয়েকদিন তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত কোথাও কোথাও কুয়াশা পড়তে পারে। তবে এখনই শৈত্যপ্রবাহের কোনো পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া অধিদফতর। ধারণা করা হচ্ছে এই মাসে শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।#