চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশে নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ললিতা সিলওয়াল বলেছেন, পণ্য পরিবহনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলপথ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করতে চায় নেপাল। তবে এই মুহূর্তে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর কোনো পরিকল্পনা নেই।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে রহনপুর সীমান্তের রেলওয়ে ট্রানজিট পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেছেন ললিতা সিলওয়াল।
ললিতা সিলওয়াল বলেন, নেপাল স্থলবেষ্টিত দেশ হওয়ায় সমুদ্রপথ ব্যবহার কঠিন। তাই ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের রহনপুর ও ভারতের সিঙ্গাবাদ রেলওয়ে রুট ব্যবহার করে সারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে নেপাল। রুটটি যাতে নেপালের ব্যবসায়ীরা আরও বেশি ব্যবহার করতে পারে, সে জন্যই নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে রহনপুর শুল্ক স্টেশন পরিদর্শনে এসেছেন তিনি।
ললিতা সিলওয়াল বিকেলে সড়কপথে রহনপুর স্টেশনে পৌঁছান। পরে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ মোটর ট্রলিতে সীমান্তের ট্রানজিট পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন রেলওয়ের ইন্টারচেঞ্জ শাখার উপ-পরিচালক মো. মিহরাবুর রশিদ খাঁনসহ নেপাল দূতাবাস ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
মো. মিহরাবুর রশিদ খাঁন বলেন, দেশের পাঁচটি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মধ্যে দুটি দিয়ে ভারত হয়ে নেপালে পণ্য পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে একটি রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট। আরেকটি বাংলাদেশের দিনাজপুরের বিরল ও ভারতের উত্তর দিনাজপুরের রাধিকাপুর রুট। রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে পণ্য পরিবহন আরও বাড়ানো যায় কীভাবে সেজন্য তারা পরিদর্শনে এসেছেন।
প্রসঙ্গত: ১৯৭৮ সালে ৪২ কিলোমিটার ভারতীয় অংশের ট্রানজিট নিয়ে পণ্য পরিবরহন করে থাকে নেপাল। বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দ্র হয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ট্রানজিট ব্যবহার করে রাসায়নিক সার আমদানী করে থাকে নেপাল ।