নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে আসছে গান পাউডার ও আগ্নেয়াস্ত্র। গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙে চলতি বছরের ৯ মাসে র্যাবের হাতে জব্দ হয়েছে সাড়ে পাঁচশ কেজির বেশি গান পাউডার ও অস্ত্র। এসব গান পাউডার ৫ আগস্ট ককটেল তৈরিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরানোর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
র্যাব-৫ এর দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৫৬৬ কেজি গান পাউডার উদ্ধার করে র্যাব। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এসব দাহ্যপদার্থ রাজশাহীর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে।
চলতি বছরের ১ থেকে ৫ আগস্ট রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি ব্যাগভর্তি ককটেল, বোমাসদৃশ বস্তুর প্রদর্শনী ছিল উল্লেখযোগ্য। ৫ আগস্ট রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরসহ ছয়টি থানা, তিনটি ফাঁড়ি ও পুলিশের ৪৩টি গাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়। এগুলো গান পাউডার ব্যবহার করা হয় বলে বলছে র্যাব।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ রশীদ বলেন, আমরা গত ৯ মাসে ৫৬৬ কেজি অবৈধ বিস্ফোরক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। পুড়ে যাওয়া অংশগুলো দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে, খুব দ্রুত আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরসঙ্গে গান পাউডারের ব্যবহার হয়ে থাকতেই পারে। এই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই মাসে চার কেজি করে দুই দফায় কাশিয়াডাঙ্গা ও দামকুড়া থেকে গান পাউডার উদ্ধার করা হয়েছে। সুতরাং এই এলাকায় গান পাউডার ব্যবহার হওয়াটাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’
আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থাপনা, অনেক গাড়ি, যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু গান পাউডার নয়, চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশে করেছে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুন্সী ইসরাইল হোসেন বলেন, দেশের মানুষের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এসব গান পাউডার আসছে। এক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী যে বাহিনী রয়েছে তাদেরও এক ধরনের মদদ রয়েছে। কারণ বাহিনীগুলো চায় তাদের ইন্টারেস্ট সার্ভ হোক।