ঢাকার আফতাব নগর হাটে গরু বিক্রি শেষে ট্রাকে করে ফেরার পথে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা লুটে নিয়ে শহিদুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা ও আরও চারজনকে পিটিয়ে আহত করেছে ডাকাতরা। পরে নিহত শহীদুলসহ চারজনকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান এলাকায় এবং অপর একজনকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মান্নাননগর এলাকায় ট্রাক থেকে ফেলে দিয়ে যায় ডাকাতেরা।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হতাহতদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শহিদুল বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার নিজবলাইল গ্রামের মজনু প্রামাণিকের ছেলে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার সোনাকানিয়া গ্রামের তফিজউদ্দিন সোনারের ছেলে ইউনুস আলী (৩০), সোনাকান্দি উপজেলার বলাইল গ্রামের মৃত কামাল সরকারের ছেলে আব্দুস সালাম (৬০), আব্দুস সালামের ছেলে নুর এ আলম (৩০) ও একই এলাকার রেজাউল করিম (৩৭)। আহতদের মধ্যে আব্দুস সালামকে চাটমোহর ও অন্যদেরকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউনুস আলী জানান, তারা নিজেদের খামারে পালন করা ১২টি ও কেনা ৪টি গরু নিয়ে ঢাকার আফতাব নগর হাটে যান। গরু বিক্রি শেষে মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে ফেরার জন্য হাটের সামনে থেকে একটি ট্রাকে উঠেন তারা। এ সময় ট্রাকে আরও যাত্রীবেশে ৮-৯ জন লোক ছিলেন।
তিনি জানান, চন্দ্রা এলাকা পার হওয়ার পরই ট্রাকে থাকা ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে তাদেরকে জিম্মি করে সব টাকা লুটে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাধা দেওয়ায় ডাকাতেরা তাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ডাকাতেরা শহিদুলকে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। এরপর তাদের কাছে থাকা সাড়ে ১৪ লাখ টাকা লুটে নেয় তারা। পরে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মান্নাননগর এলাকায় আহত আব্দুস সালামকে এবং আরও প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার পশ্চিমে বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রান ফিলিং স্টেশন এলাকায় নিহত শহিদুলসহ ইউনুস আলী, নুর এ আলম ও রেজাউলকে ট্রাক থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক জানান, ট্রাকটি চন্দ্রা পার হওয়ার পরই ডাকাতেরা শহিদুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। সারা দিন এদিক ওদিক ঘুরে রাতে আগ্রান এলাকায় ফাঁকা রাস্তার ধারে লাশটি ফেলে রেখে গেছে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারসহ আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।