সোমবার | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫৩ বছরেও জনগণের কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দেয়াললিখন, প্রতিযোগিতা, শ্রদ্ধাঞ্চলি অর্পন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপি নানা আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষ বিজয় দিবস উদযাপন করে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও প্রকৃত অর্থে জনগণের কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জিত হয় নি। এখন আধিপত্যবাদী অপশক্তি ও তার দোশরদের ষড়যন্ত্র রুখতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা ও জাতিকে আত্মনির্ভরশীল রাখতে আমাদের শপথ নিতে হবে এবং আধিপত্যবাদী ও ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।

তারা আরও বলেন, আজ বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন। যে সব বীর সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র এসেছে, তাদের শ্রদ্ধা জানানোর মাধ্যমেই এই দিবসের মহিমা প্রকাশ পাবে। এ অর্জন একদিনে সম্ভব হয় নি। বর্তমান প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে এবং দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসন:
জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জেলা পুলিশ লাইন্সে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে বিভাগীয় কমিশনার ড. খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আলমগীর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামানসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সংস্থার প্রধান, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং নানা শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। সকাল নয়টায় সার্কিট হাউজ চত্বরে জেলা পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার।

সকাল দশটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়। চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের এ মেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী অংশগ্রহণ করেন। এরপর রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ফুল ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সংবর্ধনা শেষে একই স্থানে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিন হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধাশ্রম, ছোট মনিনিবাস; অন্ধ, মূক ও বধির বিদ্যালয়, সেফ হোম, এসওএস, শিশুপল্লি, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও বেসরকারি এতিম খানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী জেলা কমান্ড:
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী জেলা কমান্ডের উদ্যোগে বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। শহিদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া, আলোচনা সভা করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, জেলা ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার-২০১৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদুল হক, জেলা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.এম.এম. ইয়াছিন আলী মোল্লা, সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

রাজশাহী মহানগর বিএনপি:
সকাল ৮টায় মালোপাড়ায় দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও র‌্যালিতে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি রাজশাহী মহানগরের সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক, জয়নুল আবেদিন শিবলী, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি।

জামায়াতে ইসলামী:
বিজয় র‌্যালি করেছে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগর। সকাল ৯টায় নগরীর আলুপট্টি মোড় থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়া হেতেমখাঁ, জাদুঘর মোড়, লক্ষ্মীপুর ও বিন্দুর মোড় রেলগেট থেকে বিভিন্ন থানা জামায়াতের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এসব শোভাযাত্রা আলুপট্টিতে এসে মিলিত হয়। পরে আলুপট্টি থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে গিয়ে সভা করেন জামায়াত নেতারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমীর মাওলানা ড. কেরামত আলী।

জামায়াতের রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডলের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমীর আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সারওয়ার জাহান প্রিন্স, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন প্রমুখ।

রাসিক:
সুর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, এনডিসি।

এরপরে রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর, কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিনা টিকিটে শিশুদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।

পুস্পস্তবক অর্পণকালে রাসিকের সচিব মোবারক হোসেন, ২৫ ও ২৮নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স রাজশাহীর সহকারী পরিচালক একেএম মুরশেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাবি:
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীবের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আনন্দ মেলাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর আকতার বানুসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ৩টায় আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানান ও তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, মো. বদরুল আলম ও মাহমুদ জামাল কাদেরীকে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট উপহার দেন।

র‌্যালি ও পোস্টার প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, প্রীতি ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ, প্রীতি ভলিবল ম্যাচ, কোরআন খানি ও মিলাদ মাহফিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

রুয়েট:
সকালে রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. আব্দুর রাজ্জাক।

রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বিভিন্ন হলসমূহ ও ক্লাবগুলো অন্যান্যরা পৃথক পৃথক ভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এর পরপরই উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. আব্দুর রাজ্জাক ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ ছাত্রদের কবর জিয়ারত করেন।

এরপর বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণী হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ওয়াহেদুল ইসলামে সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান রিপন প্রমুখ।

বাউয়েট:
পতাকা উত্তোলন ও সম্মান প্রদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুজ্জামান এবং রেজিস্ট্রার লে. কর্ণেল কে এফ এ সোহেল (অব.)।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ভ্্ূঁঞা প্রমুখ।

বিএমডিএ:
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় রাজশাহী বরেন্দ্র ভবনে, সকল জোন ও রিজিয়ন অফিসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় দিবসটি। চেয়ারম্যান ড.এম আসাদুজ্জামানের উপস্থিতিতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান প্রমুখ।

আহ্ছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়:
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ইকবাল মতিন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কলা অনুষদের ডীন শেহনাজ ইয়াসমিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আলাউদ্দিন, সিনিয়র সহকারি রেজিস্ট্রার মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

রাকাব:
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা কর্পোরেট শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মোখলেসুর রহমান সহ শাখার অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। অপরদিকে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় রাজশাহী’র পক্ষ থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসন চত্বরের স্মৃতিস্তম্ভে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয় এবং রাকাব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ার‌্যমান ড. মোহাম্মদ আলীর উপস্থিতিতে প্রধান কার্যালয় চত্বরে আলোচনা করা হয়।

রাজশাহী এডিটরস ফোরাম:
সভা করেছে রাজশাহী এডিটরস ফোরাম। প্রতিটি বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি বিনম্র সস্মান জানানো হয়। ফোরামের সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলাচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আফজাল হোসেন, হাসান মিল্লাত, ইয়াকুব শিকদার ও সোহেল মাহবুব। সভা সঞ্চালনা করেন আহসান হাবীব অপু।

শাপলা:
শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ও নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে র‌্যালি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহসিন আলী। সভাপতিত্ব করেন, সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়:
সকাল ১০ টায় শোভাযাত্রা বের করা হয়। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহার নেতৃত্বে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াছ হোসেন, সেন্টার ফর ইন্টার ডিসিপ্লিনারী রিসার্চ-এর ডিরেক্টর প্রফেসর ড. এএইচএম রহমতুল্লাহ ইমন প্রমুখ।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি:
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক জনাব হরেন্দ্রনাথ সিং। বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্থানীয় আদিবাসী জনপ্রতিনিধি আন্দ্রিয়াস বিশ্বাস (আনু পাহাড়ি)।

মহিলা পরিষদ:
রাজশাহী জেলা শাখার উদ্যোগে র‌্যালি শেষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা শাখার উদ্যোগে সভাপতি কল্পনা রায়ের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অঞ্জনা সরকার, পরিবর্তন এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদ রিপন প্রমুখ।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদ:
র‌্যাালি শেষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গনেশ মার্ডীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি রাজশাহী জেলা সভাপতি প্রমুখ।

সিসিবিভিও:
র‌্যালি শেষে কাকনহাট পৌরসভা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা জানান রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, রক্ষাগোলা গ্রাম সমাজ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ ও সিসিবিভিও কর্মীবৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সুধির সরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিসিবিভিও হিসাবরক্ষক এ.এইচ.এম তারিক, শাখা কার্যালয়ের ইনচার্জ নিরাবুল ইসলাম প্রমুখ।

রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ:
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দীকা। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হেলালুন নাহার মহিউদ্দিন।

রাজশাহী প্রেসক্লাব:
রাজশাহী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ। সভাপতিত্ব করেন, সম্পাদক শাহ্ সুফি মহিব্বুল আরেফিন। এসময় অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার সমিতি:
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঠিকাদার সমিতির সভাপতি সফিউল আলম বুলু, সাধারণ সম্পাদক শাহীন ইকবাল প্রমুখ।

আলোর দিশারী সংগঠন:
তারা শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে। প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক দফতর ও হীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল হক। এ সময় অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.