নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় বালু উত্তোলন বন্ধের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে চাঁদাবজি বাহিনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী সচেতন নাগরিক সমাজ, বালু মহলে কর্মরত মালিক ও শ্রমিকেরা।
আজ বৃহস্পিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় কোর্ট চত্বরের মানববন্ধন শেষে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র প্রদান করা হয়।
লিখিত অভিযোগপত্রে মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, আমি চলতি বাংলা ১৪৩১ সালে গোদাগাড়ী বালু মহলের নিলামে অংশ নিয়ে আমার প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এই বালু মহলের ইজারা লাভ করে গত ১লা বৈশাখ এই বালু মহল আমাদের কাছে জেলা প্রশাসন বুঝিয়ে দেয়। এরপর থেকে আমরা নিয়ম মেনেই সেখান থেকে বালু উত্তোলন করে আসছি। গত ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতা গনঅভ্যুথ্যানের পরেও আমরা নিয়মিত আমাদের বালু উত্তোলন কার্যক্রম অব্যহত রাখি। কিন্তু গত ২৩ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত্রি সাড়ে ১১ টায় সময় শেখের পাড়া প্রেমতলী বালু মহলে কর্মরত এক্সেবেটর ড্রাইভার রনি আমাকে মুঠোফোনে জানায় ছাত্রদলের পরিচয় দানকারী টমাসের নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় ব্যাক্তি এসে বালু বহনকারী ট্রাক গতিরোধ করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে। তখন আমি টমাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায় এখান থেকে বালু উত্তোলন করতে হলে আমাকে দৈনিক ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অথবা এককালীন ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দিতে হবে আপনাকে কেন চাঁদা দিতে হবে এই প্রশ্নের জবাবে টমাস জানায় আমি গোদাগাড়ী মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আহসানুল কবির টুকুর ডান হাত এবং আমি গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্মসম্পাদক আমাকে চাঁদা না দিলে কোন ভাবেই এখান থেকে বালুু উত্তোলন করতে দিবনা। পরিস্থিতির স্বাভাবিক করতে কয়েকবার টমাস ভাইকে অনুরোধ জানিয়ে অফিসে বসার আহবান জানায় কিন্তু আমার ডাকে সে সাড়া না দিয়ে পুনরায় ২৪ শে ডিসেম্বর দুপুর ১ টায় দিকে টমাস, রাকিব, রাজব , শরিফুল, রফিকসহ ২০ থেকে ২৫ জন নিলে আমাদের বালু মহলে গিয়ে হট্রোগোল করে পুরোপুরি বালু উত্তোলন বন্ধ করে দের এবং আমাদের শেখেরপাড়া বালু মহলের ক্যাশিয়ার হিটলারকে হত্যার হুমকি দেয়। এই সময় সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন, আরটিভি, একাত্তর টিভি সহ জাতীয় পত্রিকার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে গেলে তারা সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। সাংবাদিকদের মধ্যে একজন মহিলা সাংবাদিকে লাঞ্চিত করে। বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ায় আমার প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিন আনুমানিক ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। তাদের ভয়ে আমরা সেখানে যেতে পারছিনা। সেখানে কর্মরত এক্সেবেটর ড্রাইভার, ট্রাক ড্রাইভার সহ দ্বায়িতে থাকা সকলকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে তাড়িয়ে দেয়।
মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, অনেক মানুষ কর্ম করে খায় অথচ একটি চক্র কিছু ফায়দা হাসিলের জন্য বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই আমরা নিরুপায় হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি। পুনরায় যেন বালু উত্তোলন বহাল থাকে এবং ওই সকল চাঁদাবাজদের শাস্তির দাবী করেন তারা।