নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিগত সরকারের চাপিয়ে দেওয়া একাধিক গেজেট আইনের প্রতিবাদ ও জ্বালানি সেক্টরের অরাজকতা দূরীকরণে অন্তবর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারী) বেলা ১২টায় রাজশাহীর এক রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন রাজশাহী জেলা শাখার নতুন বছরের শুভেচছা বিনিময় ও মতবিনিময় সভায় এ হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান শিমুলের সঞ্চালনায় ও সভাপতি মনিমুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সভাপতি আব্দুল আওয়াল জ্যোতি।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিভাগে পেট্রোলিয়াম পরিবহন ও সরবারহে অন্যতম প্রধান পয়েন্ট বাঘাবাড়ি। অঞ্চলটিতে টোকাই, শ্রমিক নামধারী বেনামে একাধিক সংগঠন গড়ে উঠেছে। এতে স্থানটিতে গড়ে উঠেছে এক মাফিয়া সিন্ডিকেট। এতে ডিলারসসহ মালিক পক্ষ গুলো একদিকে যেমন সরকারি অন্যদিকে সিন্ডিকেটের আধিপত্যে বিপদগ্রস্ত।
মতবিনিময় সভার সভাপতি মনিমুল হক বলেন, আমরা সরকারের নিদৃষ্ট এজেন্ট মারফত তেল সংগ্রহ করে তা গ্রাহক পর্যায়ে ডিস্ট্রিবিউশন করি। আমরা দেখছি আমাদের এই কার্যক্রমে সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠান যেমন রোডস এন্ড হাইওয়ে, পরিবেশ ও ফায়ারসার্ভিসের মতো প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যার দরুন আমাদের ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছে। অনেকেই পাম্প ব্যবসা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এর সমাধান কামনা করছি।
সভায় উপস্থিত বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দরা বলেন, পেট্রোল পাম্পে বিভিন্ন অসাধু চক্রের চাঁদাবাজিসহ তেল পরিবহনের ট্রাক গুলোতে চাঁদাবাজি ও সড়কে অরাজকতা দূরীকরণ করা প্রয়োজন। এছাড়া সরকারের রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান কতৃক তেলের মূল্য সমন্বয় করার প্রয়োজনীয়তা।
সভায় অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানের দাবী জানানো হয়।
সভায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন রাজশাহী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।