বুধবার | ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তামিম ঝড়ে ডুবল রাজশাহী

 

প্রিয় রাজশাহী ডেস্ক: হাসান মুরাদকে লং অনে উড়িয়ে বাউন্ডারি পার করলেন তামিম ইকবাল। এক লাফে স্কোর ১৬৩ থেকে ১৬৯! গেম ওভার। দেশসেরার ওপেনারের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে হাসি ফেরে ফরচুন বরিশাল শিবিরে। দুর্বার রাজশাহীকে উড়িয়ে এক ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (৬ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান করে রাজশাহী। তাড়া করতে নেমে ১৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। তৃতীয় ম্যাচে এটি বরিশালের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে এক ম্যাচ বেশি খেলে রাজশাহীর এটি তৃতীয় হার। দুবারই হেরেছে বরিশালের কাছে।

মাত্র ৪৮ বলে ৮৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান বরিশাল অধিনায়ক। ফিফটির দেখা পান ২৮ বলে। চলতি আসরের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম ফিফটি পেলেন এই তারকা ক্রিকেটার। তামিমের হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

তামিমের সঙ্গে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ২৪ বলে এই রান করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৫ বলে ৭৬ রান। তাওহীদ হৃদয় ১৪ বলে ১৩ রানে ফিরলে তামিম-মুশফিকের জুটি শুরু হয়।

শুরু থেকে এক প্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে নামা প্রীতম কুমার ৯ বলে ৩ রান করে ফেরেন শুরুতে। ক্রিজে এসে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের আভাস দিলেও ১১ বলে ২৪ রানে থামে কাইল মায়ার্সের ইনিংস। হৃদয়ও সঙ্গ দিতে পারেননি তামিমকে। বাকি কাজটা তামিম সারেন মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে। রাজশাহীর হয়ে দুই উইকেট নেন মোহর শেখ।

এর আগে পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান তোলার পরও বরিশালকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেনি রাজশাহী। নির্ধারিত ওভার শেষে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে তারা। শেষে আকবর আলী ৯ বলে ১৫ ও রায়ান বার্ল ১১ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।

জিসান আলম-মোহাম্মদ হারিসের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৩০ রান। ১৬ বলে ২২ রানে হারিস আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর জিসানের সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। দুজনে ৫৫ রানের জুটি গড়ে এগোতে থাকেন।

জিসান ২৭ বলে ৩৮ রান করেন। অন্য প্রান্তে এনামুল ব্যাটিং করেন ধীরগতিতে। জিসান আউট হলে ইয়াসির আলী এসে ঝড়ো ব্যাটিং করেন। ২৩ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। এনামুল ক্রিজে থাকলেও সুবিধা করতে পারেননি। ৩৫ বলে ৩৯ রান করে ১৯তম ওভারে ফেরেন সাজঘরে। তার এমন ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ে দল। এরপর আকবর-বার্ল ইনিংস শেষ করে আসেন।

বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ১টি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও ফাহিম আশরাফ।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.