প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ বগুড়ায় দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতের ঘটনায় মামলার প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা।
মঙ্গলবার রাতে জেলা পরিবহন শ্রমিক যৌথ পরিষদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সোমবার বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বাসের ধাক্কায় মোফাজ্জল হোসেন মোফা নামে এক ভ্যানচালক নিহত হন। উপজেলার নওগাঁ-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চৌমুহনী বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভ্যানচালকের স্ত্রী মঞ্জিলা হক বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে বাস মালিক সারওয়ার হোসেন, চালক সিরাজুল ইসলাম ও তার সহকারী আশিককে আসামি করা হয়।
পরিবহন নেতারা ধর্মঘটের সময় বিভিন্ন দাবি করে আসলেও এবারের আন্দোলনের কেন্দ্রে রয়েছে এই মামলা।
সংগঠনটির পাঁচদফা দাবি হলো- বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদের প্রত্যাহার, দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার, বাস ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ আদায়, মহাসড়কে অবৈধ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ও মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ।
বগুড়া জেলা পরিবহন শ্রমিক যৌথ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গত সোমবার দুপচাঁচিয়া বাসের ধাক্কায় এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি অবশ্যই দুঃখজনক। তবে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দুর্ঘটনার পর আইন অনুযায়ী জব্দ না করে পুলিশ ঘটনাস্থলে রেখে আসলে কিছু দুর্বৃত্ত বাসটি ভাঙচুর করে। পরে দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বাস মালিক সারওয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বাসের চালক দোষ করলেও মালিক ও সহকারীর কি দোষ? পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে বাস ভাংচুরের মামলা দিতে গেলে ওসি তা নেননি। এজন্য পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে পাঁচ দফা দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বগুড়ায় সবরকম পরিবহনের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।’
আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাসের আইনি সব কাগজপত্র আছে। সমাবেশে গণমাধ্যমের কাছে তা দেখানো হবে। আমাদের দাবি মানা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এখানে পুলিশের পক্ষ থেকে আসমি কে হবে না হবে তা নির্ধারণ করা হয় না। মামলার পরে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়াও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ সত্য নয়।
প্রি/রা/শা