প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কিরণ কুমার সাহা (২৮) নামে এক বেকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও স্ত্রীর ওপর অভিমান করে বিটুল মণ্ডল (৩৬) নামে আরেকজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদরের দক্ষিণ হিন্দুকান্দি ও কুতুবপুর ইউনিয়নের দেবডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরে দুটি লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় পৃথক অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, কিরণ কুমার সাহা বগুড়ার সারিয়াকান্দির দক্ষিণ হিন্দুকান্দি গ্রামের আকালু সাহার ছেলে। তিনি বগুড়া শহরে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেকার জীবনযাপন করছিলেন।
বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ঘুম থেকে না ওঠায় বন্ধুরা তার খোঁজ নিতে আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে তার সারা না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন, কিরণ ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পরে তার ফেসবুক আইডিতে দেখা যায়, আত্মহত্যার আগে তিনি ‘আমার জন্য আমিই দায়ী’ স্ট্যাটাস দেন।
সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি জানান, কিরণের মৃত্যুতে শুধু তার পরিবারে নয়; বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপরদিকে বিটুল মণ্ডল সারিয়াকান্দির কুতুবপুর ইউনিয়নের পার দেবডাঙ্গা গ্রামের আবদুল হোসেন মণ্ডলের ছেলে। তার তিন স্ত্রীর মধ্যে একজন চলে গেছেন। মঙ্গলবার রাতে এক স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। বুধবার সকালে শয়নঘরে বাঁশের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন এ তথ্য দিয়েছেন। সারিয়াকান্দি থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, পৃথক ঘটনায় দুজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার কথা তার জানা নেই। লাশ মর্গে ও থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সূত্রঃ যুগান্তর।
প্রি/রা/শা