নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় তাঁর প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ^রে এই হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। এই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আরইউজে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জানান, বিকালে তিনি রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে রাজশাহী শহরের দিকে আসছিলেন। পুঠিয়ার বানেশ^র এলাকায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমনউজ্জামান সুমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তার প্রাইভেটকার ঘিরে ধরে। সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম গাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই হামলাকারীরা চাইনিজ কুড়াল, রামদা ও লোহার পাইপ দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হামলাটা খুবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয়েছে। কারণ, এই হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া সুমনউজ্জামান সুমনের নারী কেলেঙ্কারীর ব্যাপারে আমি সংবাদ প্রকাশ করেছি।
গাড়ি ভাঙচুরের সময় প্রচণ্ড আতঙ্কিত অবস্থায় আমি গাড়ির ভেতরেই বসে ছিলাম। গাড়ি থেকে বের হলে তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত। এ ব্যাপারে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’ হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক বলেন, ‘রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির ওপর হামলা মানে রাজশাহীর সকল সাংবাদিকের ওপর হামলা।
এর প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আরইউজের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার চাই। পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করবে বলে আশা রাখি। তা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’ জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশও পাঠিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছেন। অভিযোগ দিলে তিনি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
প্রি/রা/আ