নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি নেতৃবৃন্দেও মুক্তির দাবিতে বুধবার দুপুর ২টায় রাজশাহী মালোপাড়াস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম রাজশাহী শাখার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি চেয়ারপর্সান, তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এর নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম রাজশাহী শাখার সভাপতি এবং বাংলাদেশ আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলহাজ্ব মাইনুল আহসান পান্নার সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতায়ীতাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি ও এডভোকেট শফিকুল হক মিলনের আইনজীবী এডভোকেট আলহাজ আলী আশরাফ। তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেও গুম, খুন ও মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। মিথ্যা সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়ে সাজা প্রদান করছে। এখানে সাংবাদিতকরাও বাহিরে নেই দেশেল সকল সাংবাদিকরা জানেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একদিনও বন্দি রাখার আইনগত কোন কারন নেই। কারন সি.আর.পি.সি ৪৯৭ ধারায় স্পস্ট উল্লেখ আছে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ হলে তিনি জামিন পাওয়ার হকদার। এদিক থেকে বেগম জিয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বয়স্ক নারী এবং গুরুতর অসুস্থ। সবদিক বিবেচনা তাঁর জামিন না পাওয়ার কোন কারন নাই। তাঁর জনপ্রিয়তায় বয় পেয়ে জোর কওে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি ।
তিনি আরো বলেন, গত ২৮ জুলাই বিএনপি ঘোষিত ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে গেলে তাঁকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পার্শবর্তী এলাকা থেকে ২৭ জুলাই রাতে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সারারাত আটক রাখার পরে ২৮ জুলাই সমাবেশ শেষ হলে মিলন সহ বেশ কয়েকজনকে ফৌজদারী কার্যবিধিল ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে ঢাকা সি.এম.এম আদালেত হাজির করে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠান। সেখান থেকে ৬ আগস্ট ঢাকা আদালত হতে জামিন পেয়ে বের হওয়ার জন্য গেটে আসলে তাঁকে বের হতে না দিয়ে রাজশাহীতে দুইটি মামলায় পুলিশ আবারও আটক দেখান। পরে তাঁকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি মামলায় জামিন পেলেও তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটক করে রাখার জন্য নতুন নতুন মামলা দেয়া হচ্ছে। এই মামলাগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ১৩ আগস্ট রাজশাহী সি.এম.এম আদালতে হাজির কওে শ্যোন এরেষ্ট দেখানো হয়। ঐ মামলায় গত ২১ আগস্ট জামিন পাইলেও রাজপাড়া থানায় আরেকটি মামলা হয়। এভাবে মতিহার, কাশিয়াডাঙ্গা থানায় পর্যায়ক্রমে একই ধরনওে মামলা করা হয়। সব মামলায় জামি,ন পেলেও তাঁকে সপ্তাহব্যাপি কারাগারে আটক রেখে সর্বশেষ চলতি মাসের ১৮ তারিখ আবার নতুন করে বেলপুকুর থানায় মামলা করে সেই মামলায় শ্যোন এরেষ্ট দেখিয়ে আবারও তাঁকে কারাগারে পাঠনো হয়েছে। সরকারী পুলিশের এহেন আচরনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিপাদ জানান তারা।
তিনি বলেন, এডভোকেট শফিকুল হক মিলন একজন জনপ্রিয় নেতা। এছাড়াও তিনি হার্ট, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। তাঁকে প্রতিদিন থেরাপি দিতে হয়। বর্তামনে তাঁর অবস্থা ভাল নয়। বুধবার দুপুরের দিকে তাঁকে কারাকর্তৃপক্ষ রাজশাহী মেডেকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। এভাবে তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে কোন ভাল হবেনা। সরকারের আদেশে পুলিশ কর্তৃক যেসব মামলা মিলনের নামে করা হচ্ছে তার কোন প্রকার সত্যতা নাই। সকল মামলা রাজনৈতিন ও মিথ্যা। তিনি সহ উপস্থিত সকল আইনজীবী তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানান। সেইসাথে এডভোকেট শফিকুল মিলন সহ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ এর নি:শতৃ মুক্তি দাবী করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজশাহী বার এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জমসেদ আলী, আইনজীবী ফোরাম রাজশাহীর সহ-সভাপতি ও বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী, ইউনাইটেড আইনজীবী ফোরামের সদস্য এডভোকেট এজাজ, আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট সেফাত জেনির তুলি, সাংগটনিক সম্পাদক এডভোকেট ইমতিয়াজ মাসরুম আলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকটে এনামুল হক, সদস্য এডভোকেট আব্দুল আলিম রাসেল ও এডভোকেট ইশা।
এছাড়াও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি উপস্থিত ছিলেন।
প্রি/রা/আ