প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে হতাশায় ডুবেছে বাংলাদেশ দল। একের পর এক পরাজয়ে নিজেদের সবচেয়ে বাজে টুর্নামেন্টের তকমা এঁটে গেছে এবারের আসরের গায়ে। এমন ব্যর্থতার পর অনুসন্ধানে সামনে আসছে নানান কারণ। যার একটি বলেছেন খোদ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। সেই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহের।
কোচ, অধিনায়ক বা অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতো বিশ্বকাপ শুরুর আগে খালেদ মাহমুদও এবারের আসরে সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। অভিজ্ঞতা-তারুণ্যের মিশেলে বিশ্বকাপে ভালো কিছুর সম্ভাবনা বেশ জোর দিয়েই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও টুর্নামেন্টে দলের টিম ডিরেক্টর।
সেই অভিযানে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে বাংলাদেশের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। কিন্তু এরপর টুর্নামেন্ট যতটা এগিয়েছে, বাংলাদেশে ততই পিছিয়েছে। শুধু খারাপ খেলে হারের কারণেই নয়, বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে হারের ধরনগুলোও। পরের ছয় ম্যাচের একটিতেও লড়াই জমাতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। নিয়মিতই তারা করছে অসহায় আত্মসমর্পণ।
টানা ছয় পরাজয়ে সেমি-ফাইনালের সম্ভাবনা শেষ হয়েছে আগেই। এখন শঙ্কায় ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণও। আশা বাঁচিয়ে রাখতে অন্তত একটি ম্যাচে তো জিততেই হবে, দুটি জয়ও প্রয়োজন হতে পারে। নেট রান রেট ভালো না হলে ৮ দলের টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশ ছিটকে যেতে পারে এরপরও।
এমন অবস্থায় ম্যাচের আগে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই সংবাদমাধ্যমে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যার কথা বলেছেন খালেদ মাহমুদ, ‘আমার মনে হয় আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। আমার তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে আমি কতটুকু পারব, কতটুকু পারব না। এখন (এই বিশ্বকাপে) ক্রিকেটীয় দায়িত্ব আমার নয়।’
টিম ডিরেক্টরের এমন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই জন্ম দেয় অনেক প্রশ্নের। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রধান কোচ বলেছেন, এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি।
“তার (খালেদ মাহমুদ) সেই সাক্ষাৎকার আমি দেখেছি। তবে আমার মনে হয়, সেটি তার… তিনি এই বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি। সংবাদমাধ্যমেই আমি এটি প্রথম দেখেছি। তো এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কারণ আগে এটি শুনিনি আমি।”
প্রি/রা/তো