প্রিয় রাজশাহী ডেস্ক: ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেলের ভেতর এখনও আটকে আছেন সেই ৪১ জন শ্রমিক। গত সপ্তাহে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটির একটি অংশ ধসে পড়ে। এরপর কেটে গেছে ৯ দিনেরও বেশি সময়।
অবশেষে গরম গরম খাবার পেয়েছেন আটকে পড়া শ্রমিকরা। পাইপের মাধ্যমে বোতলে করে পাঠানো হয়েছে খিচুড়ি। সাথে অন্যান্য ফলও পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারায় নির্মাণাধীণ সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার ৯ দিন পর সোমবার ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করাতে সফল হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। এর কিছুক্ষণ পরই ওই পাইপ দিয়ে বোতলে করে গরম খাবার পাঠানো হয়।
শ্রমিকদের জন্য খাবার তৈরিতে নিয়োজিত বেশ কয়েকজন রাঁধুনির একজন হেমন্ত বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘এই খাবার সুড়ঙ্গের ভেতরে পাঠানো হবে। এই প্রথম গরম খাবার পাঠানো হচ্ছে। আমরা খিচুড়ি পাঠাচ্ছি। আমাদের যা বলা হয়েছে, আমরা শুধু সেই খাবারই তৈরি করছি।’
সংবাদমাধ্যম বলছে, দীপাবলির উৎসবে মেতে ওঠার প্রস্তুতির মধ্যেই গত সপ্তাহের রোববার ভোরে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গে ধস নামে। এতে ভেতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। অবশ্য ধসের ঘটনার পর থেকে এতদিন ৪০ জন শ্রমিকের কথা বলা হলেও গত শনিবার সেই সংখ্যা ৪১ বলে জানানো হয়।
সেই ঘটনার পর সপ্তাহ পেরিয়ে আরও সময় পার হয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি ওই শ্রমিকদের। টানেলের মধ্যে শ্রমিকদের আটকে থাকার সময় যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে ততই তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বেগও গুরুতরভাবে বাড়ছে।
তবে পাইপের মাধ্যমে খাবার পাঠানো সফল হওয়ায় বেশ স্বস্তি মিলেছে। নতুন এই পাইপটিকে ‘লাইফলাইন পাইপ’ বলেও আখ্যায়িত করছেন উদ্ধারকারীরা।
আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযানের দায়িত্বে থাকা কর্নেল দীপক পাতিল বলেছেন, এই বিকল্প লাইফলাইনের মাধ্যমে আমরা সুড়ঙ্গের ভেতরে খাবার, মোবাইল এবং চার্জার পাঠাতে পারি।
ভুক্তভোগী শ্রমিকদের কাছে কী কী খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের অবস্থার কথা মাথায় রেখে চিকিৎসকদের সহায়তায় খাদ্যের বিষয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমরা চওড়া মুখের প্লাস্টিকের নলাকার বোতল নিয়ে আসছি যাতে আমরা কলা, আপেল, খিচুড়ি এবং ডালিয়া পাঠাতে পারি।’
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর ভোর ৪টায় উত্তরাখণ্ডের নির্মাণাধীন এই টানেলের ভেতরে ধসের ঘটনা ঘটে। টানেলটিতে নির্মাণকাজ চলছিল। বহু শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করেই সুড়ঙ্গের কাঠামো ভেঙে পড়ে।
আর এরই জেরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন ওই ৪১ জন শ্রমিক।