রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী সীমান্তে ২ তরুণের লাশ, মৃত্যু নিয়ে রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সীমান্ত থেকে দুই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে খাড়ির পানিতে লাশ দুটি ভাসতে দেখে স্থানীয় জেলেরা গ্রামে খবর দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। এই দুই তরুণ কাজের সন্ধানে গত ১৯ ডিসেম্বর সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা।

দুই তরুণ হলেন- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর কানাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে মোশাররফ হোসেন মুশা (১৯) ও একই গ্রামের শুকুদ্দীর ছেলে কাওসার আলী (১৮)। তাদের দুইজনের চোখে-মুখে রক্ত লেগেছিল।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, ১৯ ডিসেম্বর একই গ্রামের ছয় থেকে সাত তরুণ কাজের জন্য ভারতের চেন্নাই যেতে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে কাওসার ও মোশাররফ ছাড়া বাকিরা গ্রামে ফিরে আসেন। আর ওই দুইজন নিখোঁজ হন। শনিবার সকালে দুই দেশের ভেতর দিয়ে যাওয়া পদ্মার একটি খাড়িতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। এই এলাকাটির নাম চর হনুমন্তনগর। যেখানে লাশ ভাসছিল সেই স্থানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে প্রায় এক কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে।

ওসি আরও জানান, মারা যাওয়া দুইজনের চোখে-মুখে রক্ত লেগেছিল। তবে সুরতহালের সময় আঘাত কিংবা শরীরে অন্যকিছু বোঝা যায়নি। যারা ধাওয়া খেয়ে গ্রামে ফিরেছেন, তারাও এই দুইজনের মৃত্যুর ব্যাপারে কিছু বলতে পারছে না। তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তবে ভিন্ন কথা বলছেন চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ভোলা। তিন জানান, উদ্ধারকৃত তরুণরা পেশায় জেলে ছিলেন। তারা রাত-বিরাতে নদীতে মাছ ধরতেন। একটি খাড়িতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে তার ধারণা তারা মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। হয়তো বিএসএফ তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিনুল ইসলাম জানান, দুইদিন আগে দুই তরুণের পরিবার তাদের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি তাদের জানিয়েছিল। এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিএসএফ তাদের বিষয়ে কিছু জানে না বলে বিজিবির কাছে দাবি করে। শনিবার সকালে দুই তরুণের লাশ উদ্ধারের কথা তিনি শুনেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.