নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য। এর আগে তার মনোনয়ন বাতিল হয়। নির্বাচন কমিশনেও আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পাননি। শেষে উচ্চ আদালত থেকে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। তিনি আয়েশা আক্তার ডালিয়াকে বেলুন প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রচারণা শুরুর আগে জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এরপর গোদাগাড়ী উপজেলার দুটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়েশা আক্তার ডালিয়া তিনি বলেন, আমি রাজশাহী-১ আসনে বেশ কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি। গত ১২ বছর থেকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অবহেলিত এই অঞ্চলে কাজ করছি। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ আমার শক্তি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পিছিয়ে গেছি। আমার মাঠ তৈরি করা আছে গত চার বছর থেকে। এলাকার মানুষদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। যাদের জন্য কাজ করেছি, যাদের ভালোবেসেছি মায়া-মমতা দেখিয়েছি, যারা আমাকে ভালোবেসেছেন তারা আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে নিয়ে আসবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সবসময় ইউনিক কাজ করতে পছন্দ করি। গতানুগতিক ধারার রাজনীতি করি না। জনগণের কাছে যেতে তাদেও অন্তরে প্রবেশ করতে পছন্দ করি। একদম সাধারণ জনগণ বলতে গেলে পা ফাটা হতদরিদ্র মানুষগুলো আমার শক্তি। তাদেরকে আমি ভালোবাসি, তারা সিদ্ধান্ত নেবে তাদের আগামী পাঁচবছরে তাদেও মাথার উপর ছায়া হয়ে থাকবে। ভক্ষক হিসেবে না।
সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন ও বাসুদেবপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তিনি। সেখানকার মানুষদের সাথে কথা বলেন ও বেলুন প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।