নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, জানুয়ারির এক তারিখে নতুন বই পেয়ে আপনার সন্তান যখন হাসি মুখে বাড়ি ফিরেছে, আর সন্তানের হাসিতে আপনি তখন আনন্দিত হোন, নিশ্চয়ই এই হাসির পেছনে একজন কারিগর আছে। সেই কারিগরের নাম রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত বিশাল নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশের মানুষ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমি এই দেশে বসবাস করি। আমাদের পহেলা জানুয়ারির উৎসব আর আগের মতো হয় না। এখন বই উৎসব হয়। প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানুয়ারি মাসের এক তারিখে নতুন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। এই বই উৎসব প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসের এক তারিখেই হয়। এই নতুন বই পেয়ে আমাদের সন্তানরা খুশি হয়। এটি সম্ভব করেছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
আপনার সন্তানের লেখাপড়া এবং হাসির জন্য যে মানুষটির অবদান আছে, সেই মানুষটির প্রতি তো আপনার কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত। নৌকায় ভোট দিয়ে তাকে বাংলাদেশের মানুষ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই শেখ হাসিনা সন্তানদের হাতে বই তুলে দিতে পারে। সেই কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকেই আপনার বিবেকের রায়টি আবারো নৌকায় চাই।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আসাদ বলেন, সন্তানের মায়েদের মোবাইলে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আসে কি না? যদি আসে, তবে এই টাকা কি শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়ির মায়েরা পায়, নাকি স্কুল পড়ুয়া সব সন্তানের মায়েরাই পায়? সবাই পায়। সব মা-বাবাই তো আর আওয়ামী লীগ করে না। একমাত্র বাংলাদেশ, যার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলতে পারেন, ‘সন্তান আপনার, লেখাপড়ার দায়িত্ব আমার।’ পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রনায়ক বলতে পারে নি, সন্তান আপনার, পড়াশোনার দায়িত্ব আমার। আপনার মোবাইলে যদি সন্তানের শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আসে, সেই টাকায় যদি সন্তানের লেখাপড়ায় সহযোগিতা হয়, তাহলে আপনি যে দলই করুন না কেন আপনার বিবেকের রায়টি নৌকায় দিবেন। এ দাবি করার তো অধিকার আমাদের আছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদ বলেন, শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে নারীদের মূল্যায়ন করে থাকে। আমরা যারা সামনের সারিতে বসে আছি কারো সার্টিফিকেটে মায়ের নাম নাই। সন্তানের নামের আগের পরিচয় হতো পিতার নামে। আর এখন সন্তানের নামের সাথে আগে মায়ের নাম থাকে, পরে পিতার নাম। মা জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে সম্মান, সেই জায়গায় থেকে তো নারী জাতির ভোটটি নৌকায় চাই।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ বলেন, যারা আজ অপপ্রচার করেন তারাও মনে মনে স্বীকার করেন, এদেশ বদলে দেয়ার কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমি শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আপনাদের কাছে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে এসেছি। অনুগ্রহ করে ভোট কেন্দ্রে যাবেন, আপনার রায়টি দিয়ে আমার পাশে দাঁড়াবেন। আমি আপনাদের কথা দিতে পারি আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আপনারা সকলই নিজ নিজ সম্মান নিয়ে বাঁচবেন। আমি মানুষকে সম্মান করতে জানি। আমি এখন যেমন প্রতিটি মানুষকে সম্মান করি এমপি নির্বাচিত হলেও একই ভাবে সম্মান দিয়ে যাবো। আপনারা যাতে ভালো থাকেন, এলাকার যাতে উন্নয়ন হয় সেটিই হবে আমার কাজ।
আসাদ বলেন, মহানগরীর চারদিক ঘিরে পবা উপজেলা। মহানগর যদি আলোয় আলোকিত হয়, মহানগরের যদি রূপ চেঞ্জ হয়, তবে পবার কেন রূপ চেঞ্জ হবে না? এই কাজটি আমরা করতে চাই। আমাদের আইটি পার্ককে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই।
দামকুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাজদার রহমান সরকারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফেরদৌস আলী সরকার, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আলী আজম সেন্টু, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আকতার নাহান, পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী খান, দামকুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেজাউল করিম বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, প্রকৌশলী শামসুল আলম প্রমুখ।