ওয়াগনার বিদ্রোহের পর গোটা বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমারা বলছেন, পুতিনের চোখে আঙুল দিয়ে রাশিয়ার সামরিক দুর্বলতা ফাঁস করে দিয়েছে এই বাহিনী।
ওয়াগনার বাহিনীর এ বিদ্রোহ নিশ্চিতভাবে প্রভাব ফেলবে ইউক্রেন যুদ্ধে।
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের এ ঘটনা পুতিনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় বসার পর তিনি কখনো এত বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেননি।
ওয়াগনারের এ বিদ্রোহের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয় যে, ইউক্রেন যুদ্ধে আর এ বাহিনীর সহায়তা পাবে না রাশিয়ার সেনারা।
ইউক্রেনের কাছ থেকে বাখমুত দখলে রাশিয়াকে ব্যাপক সহায়তা করেছে ওয়াগনার বাহিনী। কয়েক দিন আগে রাশিয়ার কাছে বাখমুত হস্তান্তর করেছে ওয়াগনার বাহিনী। এখন আর ইউক্রেন যুদ্ধের অগ্রভাগে কাজ করবে না এ বাহিনী।
নেতৃত্ব সংকটে পুতিন
ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক সহায়তার পরও ওয়াগনার বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, পুতিনের নেতৃত্বে ফাটল ধরেছে।
রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনও এ কথা বলেছেন। এদিকে ন্যাটোপ্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও একই সুরে তাল মিলিয়েছেন।