রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক প্রবাসীর স্ত্রীর জমি জোর পূর্বক দখল ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী রেবিনা খাতুন নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৮ জুন গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল করিম সোহেল দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে থাকেন। তার স্ত্রী রেবিনা খাতুন বাবার বাড়ী কাপাসিয়াপাড়ায় বসবাস করে। রেবিনার স্বামী দানসূত্রে তার নামে ৬ কাটা জমি পেয়ে ভোগ দখল করে আসছিলো। রেবিনার স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে তাকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে জমি দখলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলো।
গত ২০ মে রেবিনার দুই দেবর শাহীন উদ্দিন ও সেলিম আহমেদ ও তার স্ত্রী মাহফুজা খাতুন জমিতে গিয়ে জমির বর্গচাষিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জমি দখলে দেয়। রেবিনা খাতুন জমি দখলের কারণ জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তাদের জমির কাগজপত্রাদি নিয়ে বসতে বললে প্রাণ নাশ করিবে বলে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।
এই জমি নিয়েই রাজশাহীর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ৭৬২পি/২০২২মামলা চলমান আছে এবং ১৪৪ ধারা জারি করে আদালত।
এই অবস্থায় দুবাই প্রবাসী আব্দুল করিম সোহেল বিদেশে থাকায় স্ত্রী রেবিনা খাতুন একাকি ভয়ে বাড়ীতে বসবাস করছে। অপরদিকে আব্দুল করিম সোহেলও প্রবাসে থেকে চিন্তিত হয়ে পড়েয়ে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত শাহিন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমি নিয়ে তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই কেনো আমার নামে থানায় জিডি করেছে তাও বলতে পারবো না। আমার বড় ভায়ের সাথে জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে।
সেলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা বলে তিনি বলেন, জমি নিয়ে কাউকে মারধর বা প্রাণ নাশের ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসী সবাই জানে, এটা সম্পন্ন মিথ্যা। আব্দুল করিম সোহেল ২০০৯ সালে আমার কাছে জমি বিক্রি করে দিয়েছে। পরে ওই জমি পুনরায় তার স্ত্রী রেবিনা খাতুনকে দলিল করে দিয়েছে। করেছে। এসব বিষয়নিয়ে ঈদের পর থানায় বসার কথা রয়েছে। সেখানে যার কাগজ সে জমি নিবে এতে আমার কোন আপত্তি নেই।
প্রাণ নাশের হুমকি বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার এসআই আব্দুল হাই বলেন, তাদের জমিনিয়ে মামলা চলমান আছে। তাদের ঈদপর কাগজপত্রাদি নিয়ে বসতে বলেছি তাহলে হয়তো একটা মিমাংসা হয়ে যেতো। প্রাণ নাশের বিষয়ে বলেন, আমি তদন্ত করতে গিয়ে স্বাক্ষীরা প্রাণ নাশের বিষয়টি বলেছে। ভয়ভীতি দেখাইছে এমন একটি প্রসিকিউশন আদালতে দিয়েছি বলে জানান।