মঙ্গলবার | ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরাফাতের ময়দানে আল্লাহর কাছে মনের আকুতি জানাচ্ছেন হাজিরা

প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে। এদিন সকাল থেকেই মিনায় অবস্থান নিয়েছিলেন হাজিরা। পুরো সময় ইবাদত-বন্দেগী, তাসবিহ-তাহলিলে কাটিয়েছেন।

সেখান থেকে আজ ৯ জিলহজ (সৌদি আরবের স্থানীয় সময়) সূর্যাস্তের সময় থেকে মিনায় অবস্থান নেওয়া শুরু করেছেন তারা। সৌদি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী এ বছর ২০ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করবেন।

হজের প্রধান রোকন পালন করতে ইতোমধ্যে আরাফার ময়দানে পৌঁছেছেন হাজিরা। এখানে মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দিবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিবা শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি।

হাজিরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পুরো সময় ইবাদত-বন্দেগীতে কাটাবেন। এখানে তারা জোহর-আসরের নামাজ একত্রে আদায় করবেন। আল্লাহর কাছে প্রাণভরে মনের আকুতি জানিয়েছে দোয়া করবেন।

প্রতি বছর আরাফার ময়দানে হাজিদের কান্না-ভেজা হৃদয় বিগলিত দোয়ার বিভিন্ন দৃশ্য প্রকাশ পায়। যা পুরো বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়কে আন্দোলিত করে। এবারো হাজিদের হৃদয় নিংড়ানো দোয়ার ‍কিছু দৃশ্য প্রকাশ করেছে সৌদি সংবাদ মাধ্যম এসপিএ, মসজিদুল হারামের তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট ইনসাইট দ্য হারামাইন।

আরাফাতের ময়দানে হাজিরা যে আমল করেন তার বিবরণ—

>> মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে একনিষ্ঠ তাওবার সঙ্গে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওয়ানা হওয়া।

>> ৯ জিলহজ সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার আগে থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম ফরজ কাজ।

>> খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ জোহরের ওয়াক্তের আগেই সেরে নেওয়া। সূর্য ঢলে যাওয়ার পর জোহর নামাজের পূর্বে উকুফে আরাফার উদ্দেশে গোসল করা সুন্নাত।

>> নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে নামিরাসহ আরাফাতের ময়দানের যে কোনো জায়গায় অবস্থান করা এবং নিজ নিজ জায়গায় নামাজ আদায় করা। অর্থাৎ জোহরের সময় জোহর এবং আসরের ওয়াক্তে আসর নামাজ আদায় করার এবং দোয়া-ইসতেগফার করা।

উল্লেখ্য যে, জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মসজিদে নামিরায় জোহর ও আসরের জামাত এক আজানে দুই ইকামাতে একত্রে আদায় করলে একত্রে দুই ওয়াক্ত আদায় করা যাবে। কিন্তু তাবুতে বা অন্য কোনো স্থানে একত্রে আদায় না করে আলাদা আলাদা আদায় করা।

>> আরাফার দিনে দু’হাত উত্তোলন করে বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণ যে দোয়া পাঠ করেছেন, তা পাঠ করা। আরাফার ময়দানের অন্যতম দোয়া হলো- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির।’

>> কোরআন তিলাওয়াত ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ প্রেরণ হলো আরাফাতের ময়দানের সর্বোত্তম আমল।

>> সম্ভব হলে আরাফাতের ময়দানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সিজদায় দোয়া ও ইসতেগফারের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করা।

>> সূর্যাস্তের পর সঙ্গে সঙ্গে মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার দিকে রওয়ানা হওয়া।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.