শুক্রবার | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে ক্রয়কৃত জমি দখলে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী নগরীর ১৮ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্রয়কৃত জমির দখল নিতে গেলে বাঁধা প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার আজ ৩ জুলাই সকালে রাজশাহী ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন ১৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলেক ও তার পুত্র মামুন এবং আশরাফুল।

জমির ক্রেতা মৃত রাকিবুল ইসলামের ছেলে সফিকুল ইসলাম জনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

জনি বলেন, ১৯৯৭ সালে নগরীর বড়বনগ্রাম মৌজার অন্তর্গত ১৮ নং ওয়ার্ডে আমার বাবা শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতক জমি শাজাহান নামের এক ব্যক্তির কাছে কিনেছিলেন। যার জে.এল নং: ৮১, আর.এস খতিয়ান নং: ১২৯, দাগ নং: ৮৪৩। বাবা ক্রয়কৃত জমিতে বাউন্ডারি দিতে গেলে ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি আলেক তার স্বজনদেরকে নিয়ে বাউন্ডারি দিতে বাঁধা প্রদান করে। এ জমিটি তাদের বলে অনৈতিক দাবি করেন। নিজের পেশিশক্তি প্রয়োগে আমাদের জমিটি নিজের দখলে নেবার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে আলেক ও তার ছেলে মামুন ও আশরাফুল।

তিনি আরো বলেন, বিবদমান জমিটির বিপরীতে বিজ্ঞ আদালত, রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও শাহমখদুম থানায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দলিলপত্র জমা দিয়ে অভিযোগ করলে, আমাদের পক্ষেই রায় আসে। আলেক ও তার দুই ছেলে মামুন ও আশরাফুল স্থানীয় ‘কিশোর গ্যাং’ দিয়ে ভুক্তভোগীদের বাউন্ডারি সীমানা দিতে ও বাড়ি করতে প্রতিনিয়ত বাঁধা প্রদান ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

জনি বলেন, তাদের অত্যাচারে আমরা জমির কাছেও এখন যেতে পারছিনা। গত ৪ জুন নিজ জমিতে বাউন্ডারি দিতে গেলে আলেকের ছেলে মামুন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাকে তাড়া করে। আমি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে শাহমখদুম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন। বাউন্ডারি সীমানা দেবার জন্য জমিতে রাখা ইট-বালু তারা রাতের আধারে চুরি করেছে। চুরির প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্তরা আমাকে ও আমার মা কে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

তিনি আরো বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১৮ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পচার কাছে অভিযোগ দিলে চার মাস পর তিনি জানান, এই সমস্যার সমাধান তিনি করতে পারবেন না। পরে, বিজ্ঞ আদালতে বিবদমান জমিটি নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি চলামন রয়েছে। মামলার তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা অভিযুক্তদের পক্ষে পরোক্ষভাবে কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলেকের দাবি, জনির বাবা রাকিবুল সাজাহান ও মোতালেব নামের দুজন ব্যক্তির ইন্ধনে যে জমিটি কিনেছিল সেটির কাগজ ছিল অপরিপূর্ণ। দলিলে দাগ নাম্বার ভুল সহ চৌহদ্দি উল্লেখ্য ছিল না। জমির বিক্রেতারা তাদেরকে অন্যদাগের জমি বুঝিয়ে দিয়েছে। বিবদমান জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.