নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলায় হিমাগারে মজুত রাখা ২ হাজার ৩০০ বস্তা আলু জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রহমান ব্রাদার্স কোল্ড স্টোরেজ প্রা. লি. হিমাগারে অভিযান চালিয়ে এই আলু জব্দ করা হয়। পরে ডাকের মাধ্যমে ৩৯ টাকা দরে আলুগুলো বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা বিক্রি করবেন ৪৫ টাকা দরে।
জানা গেছে, পবায় রহমান ব্রাদার্স কোল্ড স্টোরেজ প্রা. লি. হিমাগারে বিক্রির পরেও ২ হাজার ২০০ বস্তা আলু মজুত রাখা হয়েছিল। একই হিমাগারের অন্য একটি রুম থেকে আরও ১০০ বস্তা আলু জব্দ করা হয়। এর আগে রোববার উপজেলার আমান হিমাগারে ৪৫২ বস্তা ও রহমান হিমাগারে ১৫০৫ বস্তা আলু জব্দ করা হয়।
পবার ইউএনও মো. সোহরাব হোসেন বলেন, হিমাগারের মজুত খালি করে দেওয়া হচ্ছে। জব্দকৃত আলুগুলো ব্যবসায়ীরা ৩৯ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। তারা ৪৫ টাকা দরে খুচরা বাজারে বিক্রি করবেন। বিষয়টা মনিটরিং করা হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকার পাইকারি বাজারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে আলু মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন। তারা বাজারে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন। এ ব্যাপারে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার হিমাগার খালি করার নির্দেশ দেন। এরপরেও কয়েকটি হিমাগার আলু মজুত রেখেছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী জেলাতে ৪৩টি হিমাগার রয়েছে। এসব হিমাগারে সংরক্ষণ বা মজুত করা যায় প্রায় ৮৫ লাখ বস্তা আলু। প্রতি বস্তায় আলু থাকে ৬০ থেকে ৬৫ কেজি।