সোমবার | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ কনস্টেবলকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পুলিশের এক কনস্টেবলকে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের পাশাপাশি একজনকে গ্রেফতার করেছে।

ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের নাম বদিউজ্জামান জনি। তিনি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম সানোয়ার। তবে, এ ঘটনার মূলহোতা মো. মিলন (৩৫) পালিয়ে গেছেন।

রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, মিলন সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়েছেন। এরপর থেকেই কনস্টেবল জনিকে জিম্মি করার জন্য ওঁৎ পেতে ছিলেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে জনিকে পেয়ে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে আমরা জনিকে উদ্ধার করেছি।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত মিলনের বাড়ি নগরের হড়গ্রাম এলাকায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। প্রায় সাত মাস আগে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মিলন। সেদিন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মামলা লিখেছিলেন জনি। সেই রাগেই জনিকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন মিলন।

পুলিশ জানায়, কনস্টেবল জনি পরিবার নিয়ে নগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকায় থাকেন। থানায় ডিউটি শেষে শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়ি যাচ্ছিলেন। টুলটুলিপাড়া মোড়ে মিলনসহ পাঁচ-ছয়জন তার গতিরোধ করে। এরপর দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় জনিকে। এ সময় তার কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করা হয়।

মিলন ওই কনস্টেবলকে বলেন, ওই মামলায় গ্রেফতারের পর জামিন পেতে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা এখন দিতে হবে। প্রাণহানির ভয়ে কনস্টেবল জনি তখন তার এক বন্ধুকে ফোন করেন টাকার জন্য। ওই বন্ধু বিষয়টি জনির বাবাকে জানান। এরপর জনির বাবা বিষয়টি রাজপাড়া থানায় জানান। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে জনিকে উদ্ধার করে। এ সময় মিলনসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও সানোয়ার নামের একজনকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।

ওসি আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামি হিসেবে মিলন ও সানোয়ারসহ চারজনের নাম উল্লেখ আছে। নাম না জানা আসামি আছেন আরো ছয়-সাতজন। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সানোয়ারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা মিলনসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.