নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বিষ টোপ দিয়ে নির্বিচারে পাখি হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পাখি প্রেমীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বনবিভাগের কর্মকর্তারা জবাই করা অবস্থায় এক শিকারির বাড়ি থেকে নয়টি চখাচখি পাখি, পাখি ধরার জাল ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করেছে বুধবার (৮ জানুয়ারি)। পাখি প্রেমীদের দাবি, এদিনই বিষ টোপ খেয়ে শতাধিক পাখি মারা পড়েছে।
বনবিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, বুধবার তারা খবর পান যে বিষ টোপ দিয়ে একজন শিকারি পাখিহত্যা করে রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে ঢুকেছেন। খবর পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ওই পাখি শিকারির বাড়ি যান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারি পাখি রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে পাখিগুলো জব্দ করা হয়।
এদিকে পাখি হত্যার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর পদ্মা নদীর বিভিন্ন চরে পরিদর্শন করে একজন পাখিপ্রেমী নামপ্রকাশ না করার শর্তে জানান, শিকারীরা মারার পরে শুধু চখাচখি পাখি তুলে নিয়ে গেছে। অনেক প্রজাতির ছোট পাখির মরদেহ পদ্মা নদীতে পড়ে আছে। গত বুধবার অন্তত শতাধিক পাখি বিষ টোপ খেয়ে মারা গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘মাত্র পাঁচ থেকে ছয়জন শিকারি প্রতিবছর এই সময়ে পদ্মা নদীতে এভাবে পাখি শিকার করে থাকেন। স্থানীয় লোকজন তাদের চেনেন। প্রশাসন চাইলে তাদের আটক করতে পারে। নৌ পুলিশের সদস্যরা পদ্মা নদীতে কাজ করেন। পাখি হত্যার বিষয়টি তাদের নজরদারিতেও থাকার কথা। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না।’
নৌ পুলিশের রাজশাহী অঞ্চলের পরিদর্শক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আমরা এ রকম কোনো খবর পাইনি। আমাদের যদি কেউ ইনফরমেশন দেয়, আমরা অবশ্যই অভিযান চালাব। পাখি হত্যা দেখলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাখি শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান বনবিভাগের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরও। তিনি বলেন, আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে। শিকারি পদ্মা নদীতে নামলেই তাদের আটক করা হবে। ধরার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিকারিকে শাস্তি প্রদান নিশ্চিত কো হবে। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা হয়ে আছে।